স্বাস্থ্যের জন্য লবণের 6টি উপকারিতা যা আপনার জানা দরকার

লবণ প্রায়ই বিভিন্ন রোগের কারণ বলে মনে করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা বজায় রাখা থেকে হাইপোটেনশন প্রতিরোধ করা পর্যন্ত অতিরিক্ত পরিমাণে না খেলে শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য লবণের উপকারিতা খুবই ভালো।

খাবারের সুস্বাদু স্বাদ এতে লবণের ব্যবহার থেকে আলাদা করা যায় না। যাইহোক, লবণ খাওয়া প্রায়ই উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং করোনারি হৃদরোগের সাথে যুক্ত।

যাইহোক, অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া হলে এটি ঘটতে পারে। প্রস্তাবিত পরিমাণে সেবন করা হলে, আপনি লবণের বিভিন্ন উপকার পেতে পারেন।

দৈনিক লবণ খাওয়ার পরিমাণ

প্রতিদিন লবণ খাওয়ার পরিমাণ বয়স অনুযায়ী সামঞ্জস্য করা প্রয়োজন। আপনার বয়স যত কম, আপনার শরীরের লবণের প্রয়োজন তত কম। বয়সের মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে লবণ খাওয়ার প্রস্তাবিত পরিমাণ নিম্নরূপ:

  • 1 বছরের কম বয়সী শিশু: দিনে 1 গ্রামের কম
  • 1-3 বছর বয়সী শিশু: প্রতিদিন 2 গ্রামের বেশি নয় বা 0.8 গ্রাম সোডিয়ামের সমতুল্য
  • 4-6 বছর বয়সী শিশু: প্রতিদিন 3 গ্রামের বেশি বা 1.2 গ্রাম সোডিয়ামের সমতুল্য নয়
  • 7-10 বছর বয়সী শিশু: প্রতিদিন 5 গ্রামের বেশি বা 2 গ্রাম সোডিয়ামের সমতুল্য নয়
  • 11 বছর বা তার বেশি বয়সী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা: প্রতিদিন 6 গ্রামের বেশি নয় বা 1 চা চামচের সমতুল্য
  • হার্টের সমস্যাযুক্ত রোগীদের: প্রতিদিন 1.5 গ্রামের বেশি নয়

লবণ খাওয়ার উপকারিতা

লবণে রয়েছে খনিজ আয়োডিন, যা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সঠিকভাবে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লবণের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা অন্তর্ভুক্ত:

1. থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন বজায় রাখুন

লবণে থাকা আয়োডিনের অভাবে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে পারে না। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি থাইরয়েড বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি এবং মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে।

2. নিম্ন রক্তচাপ প্রতিরোধ করুন

পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশন প্রতিরোধ করতে পারে। এই অবস্থার কারণে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ঝাপসা দৃষ্টি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যাইহোক, সর্বদা মনে রাখবেন প্রতিদিন আপনার লবণের পরিমাণ বেশি না করা।

3. শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখুন

লবণে সোডিয়াম থাকে যা শরীরের কোষে তরল ধরে রাখতে কাজ করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত লবণ খাওয়ার মাধ্যমে, আপনি শরীরের তরল বা ডিহাইড্রেশনের অভাব এড়াতে পারবেন।

4. উপসর্গ উপশম সিস্টিক ফাইব্রোসিস

রোগীর শরীরে লবণ ও পানির মাত্রা সিস্টিক ফাইব্রোসিস ঘামের মাধ্যমে দ্রুত হারিয়ে যাবে। তাই ডিহাইড্রেশন রোধ করতে তাদের বেশি করে পানি ও লবণ খাওয়া প্রয়োজন।

5. শরীরের অঙ্গগুলির কার্যকারিতা বজায় রাখা

লবণে থাকা সোডিয়াম উপাদান শরীরের স্নায়ু ও মাংসপেশির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এই কারণেই লবণ স্নায়ু এবং পেশীর ব্যাধি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

6. মস্তিষ্কের বিকাশের ব্যাধি প্রতিরোধ করুন

গর্ভাবস্থায় লবণে আয়োডিনের ঘাটতি হলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। এছাড়াও শিশু এবং শিশুদের মধ্যে লবণ খাওয়ার অভাব তাদের আইকিউ কমিয়ে দিতে পারে।

উপরোক্ত লবণের উপকারিতা কেবলমাত্র পরিমিতভাবে খাওয়া হলেই পাওয়া যাবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া আসলে শরীরের তরল ভারসাম্য ব্যাহত করতে পারে এবং রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

আপনি যদি লবণের উপকারিতা এবং আপনার শরীরের অবস্থা এবং প্রয়োজন অনুসারে লবণ খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে আরও জানতে চান, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে দ্বিধা করবেন না।